ওয়েব ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) শুল্কযুদ্ধের আবহে নাজেহাল আমেরিকাবাসী। কারণ, বিভিন্ন দেশের পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক (Tariff) চাপানোর ফলে মার্কিন মুলুকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির (Price Hike) প্রভাব বাড়ছে দিনের পর দিন। তথ্য বলছে, জুলাই মাসে আমেরিকায় মাথাপিছু খরচের পরিমাণ চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। পরিষেবা খাতে মুদ্রাস্ফীতি (Inflation) বেড়ে যাওয়ায় অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন, দেশের অর্থনীতিতে মূল্যবৃদ্ধির চরম প্রভাব পড়বে আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই।
আমেরিকার বাণিজ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে মাথাপিছু খরচ বেড়েছে ০.৫ শতাংশ, যা জুনের ০.৪ শতাংশ বৃদ্ধির থেকেও বেশি। জানা গিয়েছে, এই মূল্যবৃদ্ধির সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে অটোমোবাইল খাতে। গাড়ি কেনাকাটার খরচ অত্যধিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে ট্রাম্পের দেশে। এছাড়া বিনোদন সামগ্রী, পোশাক-পরিচ্ছদ, আসবাব ও খাদ্যপণ্যের ক্ষেত্রেও বেড়েছে আমেরিকাবাসীর। তবে রেস্তোরাঁ, হোটেল এবং জ্বালানিতে খরচ কিছুটা কমেছে।
আরও পড়ুন: ট্রাম্প জীবিত না মৃত? জল্পনা বিশ্বজুড়ে, কী হয়েছে? জেনে নিন
এদিকে পরিষেবা খাতে আমেরিকাবাসীর খরচ ০.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মূলত আর্থিক পরিষেবা, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং আবাসন খরচ বৃদ্ধির কারণে এই মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। পরিষেবা খাতের এই মুদ্রাস্ফীতি বছরের পাঁচ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হারে বাড়ছে। বিশেষত আর্থিক পরিষেবার খরচ বেড়েছে ১.২ শতাংশ।
এদিকে গত তিন মাসে আমেরিকায় গড়ে ৩৫,০০০ নতুন শূন্যপদ তৈরি হয়েছে। ২০২৪ সালের একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। গতবছর আমেরিকায় ১,২৩,০০০ নতুন শূন্যপদ তৈরি হয়েছিল। ২০২৫-এ দেশে বড় পরিসরে ছাঁটাই না হলেও নিয়োগের গতি স্পষ্টতই কমেছে। এদিকে আমেরিকার মুদ্রাস্ফীতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে থাকলেও শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব আগামী মাসগুলোতে আরও বাড়বে বলে সতর্ক করেছেন বিশ্লেষকরা।
দেখুন আরও খবর:


                                    




